ত্রিপুরা-১৪৬ & ৩৪৩
গুজরাট: ১৭২ & ১৬১
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ ফেব্রুয়ারি।। দুরন্ত জয়। এবার গুজরাটের বিরুদ্ধে। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থেকেও ছিনিয়ে নিলো জয়। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিজয় পতাকা উড়ালেন পারভেজ সুলতান-রা। রণজি ট্রফি ক্রিকেটে। ত্রিপুরা জয়লাভ করে ১৫৬ রানের বড় ব্যবধানে। ত্রিপুরার প্রথম ইনিংসে গড়া ১৪৬ রানের জবাবে স্বাগতিক গুজরাট ১৭২ রান করেছিলো। ২৬ রানে পিছিয়ে থেকে ত্রিপুরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪৩ রান করে। জয়ের জন্য ৩১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ত্রিপুরার বোলারদের সাড়াশি আক্রমণে মাত্র ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় গুজরাট। দুরন্ত বল করায় ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন পারভেজ সুলতান। পারভেঝের ভেলকিতে দ্বিতীয় দিনেই ম্যাচে ফিরেছিলো ত্রিপুরা। ধেখার ছিলো দ্বিতীয় ইনিংসে কতটা জ্বলে উঠতে পারেন ত্রিপুরার বোলাররা। রাজ্য দলের বোলারদের ত্বেজে কার্যত ঝলসে গেলেন গুজরাটের ব্যাটসম্যান-রা। দ্বিতীয দিনের ৯ উইকেটে ৩৩০ রান নিয়ে খেলতে নেমে রবিবার আরও ১৩ রান যোগ করার পর ত্রিপুরার শেষ উইকেটের পতন হয়। শঙ্কর ৬০ রান করেন। ৩১৮ রানের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ত্রিপুরার বোলাররা শুরু থেকেই বিপক্ষের উইর সাড়াশি আক্রমণ করতে থাকেন। ত্রিপুরার হয়ে বিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাট আনেন রাণা দত্ত। এরপর ক্রমাগতই উইকেট হারাতে থাকেন গুজারাট। শেষ পর্যন্ত ৫২.৩ ওভার ব্যাট করে ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় গুজরাট। দলের পক্ষে এস এ দেশাই ৫৫ বল খেলে ৭ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে৪৭, উমং ৫৫ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭, হেট প্যাটেল ৬৭ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩০, সুনপ্রীত বাগ্গা ৬৯ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ রান করেন। দলের আর কোনও ব্যাটসম্যান রুখে দাড়াতে পারেননি। ত্রিপুরার পক্ষে শ্রীদাম পাল ১৬ রানে,পাভেজ সুলতান ৫৮ রানে ৩ টি, এবং শঙ্কর পাল ৪৬ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন। ম্যাচে মোট ১০ উইকেট পান পারভেজ। সঙ্গত: কারনেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বঁাহাতি ওই স্পিনারটির হাতে। ৯-১২ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা ষষ্ঠ ম্যাচ খেলবে চন্ডিগড়ের বিরুদ্ধে। চন্ডিগড়েই হবে ম্যাচটি। গুজরাট জয় ওই ম্যাচের আগে মনোবল বাড়াবে মণিশঙ্করদের।