ত্রিপুরা-১৩৭
ঝাড়খন্ড-১৭৪/৪
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ ফেব্রুয়ারি।। প্রথম দিনই পরাজয়ের কবর খুড়ে নিলো ত্রিপুরা। শুধুমাত্র ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে পরাজয় দিয়েই মরশুম শেষ করবে রাজ্যদল। অনূর্ধ্ব-২৩ কর্ণেল সি কে নাইডু ট্রফি ক্রিকেটে। বোকারোর বি এস এল মাঠে অনুষ্ঠিত আসরের প্রথম দিনের শেষে ৩৭ রানে এগিয়ে স্বাগতিক দল। ত্রিপুরার গড়া ১৩৭ রানের জবাবে ঝাড়খন্ড ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে। টার্ণিং উইকট সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরা শুরু থেকেই ২২ গজে লুটিয়ে পড়ে। নবম উইকেটে ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ এবং দেবরাজ দে যদি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারতেন তাহলে রাজ্যদলের স্কোর ১০০ রানের গন্ডি হয়তোবা পার করতে পারতো না। নবম উইকেটে দু-জন ১৩৫ বল খেলে ৬৫ রান যোগ করেন। ত্রিপুরা ৪৭ ওভার ব্যাট করে মাত্র ১৩৭ রান করতে সক্ষম হয়। রাজ্যদলের পক্ষে ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ ৬৪ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ৩ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭, নবারূণ চক্রবর্তী ৩৯ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১,দেবরাজ দে ৮৭ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮, অমিত আলি ২৪ বল খেলে ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ এবং সেন্টু সরকার ২৪ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ রান করেন। ঝাড়খন্ডের পক্ষে মানিষী ৪৪ রানে ৬ টি এবং সাহিল রাজ ১৯ রানে ৩ টি উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে ঝাড়খন্ডের শুরুটাও মোটেই ভাল হয়নি। ত্রিপুরার স্পিনারদের দাপটে একসময় ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিলো স্বাগতিক দল। ওই অবস্থায় সত্য সেতু এবং রাজন দ্বীপ রুখে দাড়ান। এবং কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এবং দলকে প্রত্যাশিতভাবে লিড এনে দেন। রাজন দ্বীপ শেষ পর্যন্ত প্রথম দিনের শেষে অপরাজিত থেক যান। রাজন ৯৭ বল খেলে ৭ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৮২ রানে এবং দলনায়ক সাহল রাজ ১৩ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ রানে অপরাজিত থেকে যান। এছাড়া স্বাগতিক দলের পক্ষে সত্য সেতু ৭৮ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪,শরণদ্বীপ সিং ২৬ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ এবং শিখর মোহন ৩০ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে অমিত আলি ৬৩ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন।