ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ ফেব্রুয়ারি।। ক্রীড়া আঙ্গিনায় ত্রিপুরার মাটিতে যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে। আগামী ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক আসর আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই অলিম্পিক আসরে দুটো নতুন ইভেন্টের সংযোজন হতে যাচ্ছে। তার একটি হল যোগাসন। আর সেই যোগাসন ইভেন্টে পারফর্ম করার জন্য ত্রিপুরার খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করবে। অনেকটা এ ধরনের দুর্দান্ত ভবিষ্যৎবাণী শোনা গেছে খেলো ইন্ডিয়া আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় যোগাসন ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। কম্পিটিশন ম্যানেজার চন্দ্রকান্ত মিশ্রের এই কথাটি একেবারে অমূলক নয়। সময়ে তা বাস্তবায়িত হবে বলেই অনুমেয়। মূলতঃ বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে আজ, মঙ্গলবার খেলো ইন্ডিয়া আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় যোগাসন ইভেন্ট শেষে বিজয়ীদের দলগত ট্রফি এবং পদকে সম্মানিত করা হয়েছে। আরটিএম নাগপুর ইউনিভার্সিটির দ্বিমুকুট বিজয় এবারকার আসরের উল্লেখযোগ্য বিষয়। মহিলা বিভাগে আর.টি.এম নাগপুর ইউনিভার্সিটি ৪১৯.৭৬ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তথা স্বর্ণপদ স্বর্ণপদক পেয়েছে। ত্রিপুরা ইউনিভার্সিটি ৪১৭.৯১ পয়েন্ট পেয়ে রানার্স আপ ট্রফি অর্থাৎ রৌপ্য পদক পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালকাটা ৪১০.০৮ নম্বর পেয়ে সেকেন্ড রানার্স আপ অর্থাৎ ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। পুরুষ বিভাগে আরটিএম নাগপুর ইউনিভার্সিটির ৪২২.০৮ পয়েন্টে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তথা স্বর্ণপদক। পাঞ্জাবের লাভলী প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি ৪২০.৪১ পয়েন্ট পেয়ে রানার্সআপ ট্রফি তথা রৌপ্য পদক, হরিদ্বারের দেব সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় ৪১৬.২৫ পয়েন্ট পেয়ে সেকেন্ড রানার্স আপ তথা ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। এন এস আর সিসির ইনডোর হলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. প্রফেসর মানিক সাহা, যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রমূখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।