অন্ধ্র:- ৩০৫/৬
ত্রিপুরা-১৫৭
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি।। হোঁচট খেলো ত্রিপুরা। জয়ের হ্যাটট্রিক করতে পারলো না। হারলো অন্ধ্রের বিরুদ্ধে। ১৪৮ রানের বড় ব্যবধানে। অনূর্ধ্ব-২৩ মহিলাদের জাতীয় একদিবসীয় ক্রিকেটে। সল্ট লেকের যাদবপুর ইউনিভার্সিটির সেকেন্ড কমপ্লেক্স মাঠে। মঙ্গলবার দুদলের মধ্যে মূলতঃ পার্থক্য গড়ে দেন অন্ধ্রপ্রদেশের ওপেনার পি রাঙ্গা লক্ষ্মী। ঝড়ো ইনিংস খেলে ত্রিপুরার সামনে পাহাড় সমান রান তুল ধরেন ওই ওপেনারটি। এখানেই পিছিয়ে পড়ে ত্রিপুরা। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা দেখিয়েছেন অনামিকা দাস-রা। অন্ধ্রপ্রদেশের গড়া ৩০৫ রানের জবাবে ত্রিপুরা ১৫৭ রান করতে সক্ষম হয়। লক্ষ্মী ১৭২ রানের চোখঝলসানো ইনিংস খেলেন। সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট নিয়ে দলীয় ২৩ রানের মাথায় উইকেট হারানোর পর লক্ষ্মীর সঙ্গে রুখে দাড়ান হেনরিটা পেরেরা। ওই জুটি কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। ত্রিপুরার বোলারদের যাবতীয আক্রমণ দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলা করে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। দ্বিতীয় উইকেটে ওই জুটি ২৩০ বল খেলে ২৫০ রান যোগ করেন। এখানেই পিছিয়ে পড়ে ত্রিপুরা। লক্ষ্মী ১৫৪ বল খেলে ২৩ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭২ এবং হেনরিটা ১০৫ বল খেলে ৯ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১০২ (অপ:) রান করেন। অন্ধ্রপ্রদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করে। ত্রিপুরার পক্ষে মমিতা দেব ৬২ রানে ৩ টি উইকেট দখল করে। জবাবে খেলতে নেমে ত্রিপুরা ৪৭ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে অনামিকা দাস ৭৫ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২, অন্তরা দাস ৫৩ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৬, পূজা দাস ২৭ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ রান করেন। অন্ধ্রপ্রদেশের পক্ষে সারণ্য গাওয়াল ৩৪ রানে ৫ টি এবং বি অনুষা ২৮ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন। ১ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার চতুর্থ প্রতিপক্ষ কর্ণাটক।