ত্রিপুরা-২৬৬
অসম-২৩/১
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ ফেব্রুয়ারি।।
বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ ত্রিপুরা। তবে দিনের শেষে ১ উইকেট তুলে নিয়ে সফররত দলকে চাপে রাখলেন সেন্টু সরকাররা। ঘরের মাঠে। ওপেনার দ্বীপজয় দেব, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দুর্লব রায় এবং অলরাউন্ডার ইন্দ্রজিৎ দেবনাথের দাযিত্বশীল ব্যাটিংয়ে লড়াকু স্কোর গড়লো ত্রিপুরা। এখন বোলাররা যদি নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে পারেন তাহলে সাফল্য পাবেই ত্রিপুরা। অনূর্ধ্ব-২৩ কর্ণেল সি কে নাইডু ট্রফি ক্রিকেটে। এম বি বি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ত্রিপুরার ২৬৬ রানের জবাবে প্রথম দিনের শেষে সফররত দল ১ উইকেট হারিয়ে ২৩ রান করে। ত্রিপুরা এখনও এগিয়ে ২৪৩ রানে। ত্রিপুরার পক্ষে ওপেনার দ্বীপজয় অর্ধশতরান করেন। ঘরের মাঠে ব্যাটার্স-রা রানে ফিরবেই ওই প্রত্যাশায় ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়াপ্রেমীরা। কার্যত তেমন কিছুই দেখা গেলো না। সকালে অসমের অধিনায়ক টসে জয়লাভ করে ত্রিপুরাকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ত্রিপুরা। সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন দলনায়ক সেন্টু সরকার (১৮) এবং তন্ময় ঘোষ (৩১)। ওই অবস্থায় ওপেনার দ্বীপজয়ের সঙ্গে রুখে দাঁড়ান দুর্লব রায়। ওই জুটি কড়া প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এবং ত্রিপুরাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দ্বীপজয় ১১৯ বল খেলে ১২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৮ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরেন। দুর্লব করেন ৪০ রান ৬২ বল খেলে ৮ টি বাউন্ডারির সাহায্যে। শেষ দিকে ত্রিপুরাকে লড়াকু স্কোর গড়াতে মূখ্য ভূমিকা নেন ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ। ইন্দ্রজিৎ ৬২ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ রান করেন। শেষ উইকেটে কাজল সূত্রধরের সঙ্গে ৪১ বল খেলে ২৮ রান যোগ করেন ইন্দ্রজিৎ। ত্রিপুরা ৭৩.৩ ওভারে ২৬৬ রান করতে সক্ষম হয়। অসমের পক্ষে ভার্গব প্রতীম লহকর ৪২ রানে ৬টি এবং ময়ুখ হাজারিকা ৫৮ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে দলীয় কোনও রান যোগ করার আগেই অসম হারায় প্রদ্যুন সাইকিয়াকে। ওই অবস্থায় জিতু আলি এবং রোশন টিপনো রুখে দাড়ান। শেষ পর্যন্ত প্রথম দিনের শেষে ওই জুটি অবিচ্ছিন থেকে অসমকে ২৩ রানে পৌঁছে দেন। জিতু ৬ রানে এবং রোশন ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। ত্রিপুরার পক্ষে একমাত্র উইকেটটি দখল করেন অভিজিৎ দেববর্মা। সোমবার দ্বিতীয় দিনে ত্রিপুরা তঁাকিয়ে থাকবে বোলারদের দিকে। বোলাররা যদি সকালে জ্বলে উঠতে পারেন তাহলে অনায়াসেই প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারবে ত্রিপুরা।