ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ ফেব্রুয়ারি।। মিলি ঝুলি হলো না। অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন আধিকারিকের পক্ষ থেকে খবর, টি সি এ-র নির্বাচন হচ্ছেই। তবে অকালের এই নির্বাচন ৫০ শতাংশ পদের জন্য। বাকি ৫০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে একজন করে প্রার্থী থাকায় তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বলা চলে। এখন শুধু নির্বাচন আধিকারিকের ঘোষণার বাকি। মোটকথা বহু চর্চিত এবং আলোচিত ব্যক্তিত্রয় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থেকে গেছেন। অন্ততপক্ষে রাজ্যের বৃহত্তম অর্থ ভাণ্ডারের ক্রীড়া সংস্থা ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের নির্বাচনী ডামাডোল। এক পক্ষ বলেছিলেন নির্বাচন হচ্ছেই। তাঁদের কথাই মিলে গেল। ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের নির্বাচন আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ইলেকশন আধিকারিক এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত নোটিশ অনুযায়ী। প্রাক নির্বাচনী কার্যসূচী নির্ঘণ্ট অনুযায়ী একে একে সমাধান হতে হতে আজ, মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনও অতিক্রান্ত। ভোটার হাতেগোনা ৩০ জন। তিনটি পদের জন্য দুজন করে ছয় জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করেছেন নির্বাচন আধিকারিক। সভাপতি পদে দুজন প্রার্থী। বর্ণানুক্রমে এক নম্বরে অমিত রক্ষিত, দুই নম্বরে তপন লোধ। কোষাধ্যক্ষ পদে এক নম্বরে বাসুদেব চক্রবর্তী, দুই নম্বরে জয়লাল দাস। কাউন্সিলর পদে এক নম্বরে সৌমিত্র গোপ, দুই নম্বরে তপন চৌধুরী। পদ হিসেবে অফিস বেয়ারার পাঁচ জন এবং কাউন্সিলর একজন। মোট ছয়টি পদের জন্য নির্বাচনী আসরে মনোনয়নপত্র দাখিল নিয়ে অনেকটা জল্পনা-কল্পনার তৈরি হয়েছিল। সহ-সভাপতি, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকের তিনটি পদে প্রার্থী সংখ্যা একজন করে রয়েছে বলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তাঁরা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। সহ-সভাপতি পদে উপানন্দ দেববর্মা, সম্পাদক পদে সুব্রত দে এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে জয়ন্ত দে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন বলে এখন শুধু ঘোষণার বাকি।