ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি।। ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের নির্বাচন সম্পন্ন হলো। সর্বমোট ৩৩ জন ভোটারের মধ্যে ২৮ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। কৈলাসহর, আমবাসা ও কাঞ্চনপুরের প্রতিনিধি তথা ৩ জন ভোটার আগেই বৈধতা হারিয়েছেন। বৈধ ৩০ জন ভোটারের মধ্যে শান্তিরবাজার মহকুমা সংস্থার প্রতিনিধি এবং লাইফ মেম্বারদের প্রতিনিধি ভোট প্রদান থেকে বিরত রয়েছেন। সভাপতি পদের প্রার্থী তপন লোধ ২৩-৫ ভোটের ব্যবধানে তাঁর নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী, অমিত রক্ষিতকে পরাজিত করেছেন। সহ-সভাপতি পদে উপানন্দ দেববর্মা, সেক্রেটারি পদে সুব্রত দে এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে জয়ন্ত দে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে বাসুদেব চক্রবর্তী তাঁর নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তথা বিগত নির্বাচিত কমিটির কোষাধ্যক্ষ জয়লাল দাস কে ২৩-৫ ভোটে পরাজিত করেছেন। কাউন্সিলর পদে সৌমিত্র গোপও ২৩-৫ ভোটে তাঁর নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তপন চৌধুরীকে ২৩-৫ ভোটে পরাজিত করেছেন। আজ নবনির্বাচিত কমিটি একদিকে যেমন উচ্চ আদালত নির্দেশিত কমিটি অফ এডমিনিস্ট্রেটরের কাছ থেকে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল বডি এক বৈঠকের আয়োজন করে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের উপনীত হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে নবনির্বাচিত তথা বিগত কমিটির সভাপতি তপন লোধ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। সাংবাদিকের প্রশ্নোত্তর কালে তিনি বিগত কমিটির বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব-নিকেশ নিয়ে আহূত বিতর্কের প্রশ্নে অনুমোদন ব্যতিরেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। তা এখনও অনুমোদন পায়নি বলে জানিয়েছেন। নবনির্বাচিত এই কমিটি আগামী তিন বছরের জন্য ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সংবিধান অনুযায়ী সামগ্রিক দায়িত্বভার সামলাবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে নবনির্বাচিত সম্পাদক সুব্রত দেও রাজ্য ক্রিকেটের মানোন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে মিডিয়া সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।