নাগাল্যান্ড-১৪৪
ত্রিপুরা-১৪৫/৪
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারি।। জয় দিয়ে আসর শেষ করলো ত্রিপুরা। বুধবার আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে ত্রিপুরা পরাজিত করলো দুর্বল নাগাল্যান্ডকে। ৬ উইকেটে। আসরে ৭ ম্যাচ খেলে ৩ টি ম্যাচে জয় পেয়ে ১৪ পয়েন্ট পেলো ত্রিপুরা। ‘বি’ গ্রুপে ত্রিপুরার স্থান পঞ্চম। অনূর্ধ্ব-২৩ বালিকাদের একদিবসীয় ক্রিকেটে। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নাগাল্যান্ডের গড়া ১৪৪ রানের জবাবে ত্রিপুরা ১৯.২ ওভার বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে জযের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ত্রিপুরার অম্বেষা দাস ৫১ রানে অপরাজিত থেকে যান। এবারের আসর থেকে অম্বেষা, পূজা, অনামিকা-রা বুঝিয়ে দিলেন অন্নপূর্ণাদের উত্তরসুরী আগামী দিনে পেয়ে গেছে ত্রিপুরা। গেলো বছর পর্যন্ত ওই চিত্রটা তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। এবার অন্যরূপে দেখা গেলো ত্রিপুরার ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে লড়াই করার মানসিকতা জন্মেছে অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটারদের। যা আগামীদিনে ত্রিপুরাকে আরও সাফল্য এনে দিতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এদিন সকালে টসে জয়লাভ করে নাগাল্যান্ডের অধিনায়িকা প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ত্রিপুরার বোলারদের আটোসাটো বোলিংয়ের সামনে তেমন বড় স্কোর গড়তে পারেনি গ্রুপের শেষ স্থানে থাকা পূর্বোত্তরের ওই রাজ্যটি। মিডল অর্ডারে ওয়াটিনারো যদি কড়া প্রতিরোধ গড়ে না তুলতেন তাহলে নাগাল্যান্ডের স্কোর ১০০ রানের গন্ডি পার হতোনা। ওয়াটিনারো ৬৫ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ রান করেন। এছাড়া নাগাল্যান্ডেক পক্ষে দলনায়িকা ইলিনা ৭৫ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ এবং জ্যোতি ৫০ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ রান করেন। দল অতিরিক্ত খাতে পায় ২১ রান। ত্রিপুরার পক্ষে প্রীয়াঙ্কা সাহা ১৯ রানে ৩ টি , সেবিকা দাস ২৬ রানে এবং মমিতা দেব ৩০ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন। সহজ লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে ত্রিপুরা ৩০.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জযের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ত্রিপুরার হয়ে অম্বেষা দাস দুরন্ত ব্যাটিং করেন। ৫৬ বল খেলে ৮ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থেকে যান অম্বেষা। এছাড়া ত্রিপুরার পক্ষে অনামিকা দাস ৩৯ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৫ এবং অন্তরা দাস ৪৮ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ রান করেন। দল অতিরিক্ত খাতে পায় ১৮ রান। নাগাল্যান্ডের পক্ষে শারিবা ৩১ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন।