More
    HomeSports Newsমননের শতকে এগুচ্ছে চন্ডিগড় চ্যালেঞ্জের মুখে লড়াকু ত্রিপুরা

    মননের শতকে এগুচ্ছে চন্ডিগড় চ্যালেঞ্জের মুখে লড়াকু ত্রিপুরা

    চন্ডিগড়-‌২৮২/‌৬

    ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ ফেব্রুয়ারি।। প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে বড় স্কোর গড়তে চলেছে স্বাগতিক চন্ডিগড়। দলনায়ক মমন ভোরার দুরন্ত শতরানের কঁাধে ভর দিয়ে। রণজি ট্রফি ক্রিকেটে। ওই রাজ্যের সেক্টর ১৬ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের শেষে চন্ডিগড় ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করে। একসময় ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক দল যখন খাদের কিনারায় ছিলো তখনই মমন ভোরা এবং এ কে কৌশিক রুখে দাড়িয়ে দলকে বড় স্কোর গড়াতে মূখ্য ভূমিকা নেন। শুক্রবার সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চন্ডিগড়ের অধিনায়ক মমন ভোরা। সকালের স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়াকে দুরন্তভাবে কাজে লাগান ত্রিপুরার দুই স্পিডস্টার রাণা দত্ত এবং মণিশঙ্কর মুড়াসিং। ওই দুজন শুরুতেই স্ট্রিম রোলার চাপান স্বাগতিক দলের উপর। ওই দুজনের তান্ডবে শুরুতেই স্বাগতিক দলের শিবির কালো মেঘে ঢেকে যায়। দলীয় ৩৪ রানের মধ্যে চন্ডিগড় হারায় শিবম ভামব্রি (‌৫), আর্সলান জেড খান (‌০), কুনাল মহাজন (‌০) এবং করণ কাইলা (‌৯)কে। ওই অবস্থায় রুখে দাড়ান ভোরা এবং কৌশিক। চাপের মুখে দুজন কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এবং ঠান্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ত্রিপুরার অধিনায়ক তঁার বোলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বল করিয়েও উইকেট ভাংতে ব্যর্থ শুরুতে। সেট হয়েই দুজন স্কোরবোর্ড সচল রাখার দিকে নজর দেন। ওই জুটি ২৯৪ বল খেলে ১৭৩ রান যোগ করে দলকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান। কৌশিক ১২৬ বল খেলে ১০ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৬ এবং ভোরা ২১৯ বল খেলে ১৮ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩৪ রান করেন। দুজন আউট হওয়ার পর ময়াঙ্ক সিধু-‌র সঙ্গে রুখে দাড়ান গুরিন্দর সিং। প্রথম দিনের খেলা যখন শেষ হয় তখন ওই জুটি ১০১ বল খেলে ৩৯ রান যোগ করে অপরাজিত থেকে যান। শেষ পর্যন্ত প্রথম দিনের শেষে ৯০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করে। ময়াঙ্ক ৬৭ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ রানে এবং গুরিন্দর ৫৫ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে যান। ত্রিপুরার পক্ষে মণিশঙ্কর মুড়াসিং ৪২ রানে ২ টি, বিক্রম দেবনাথ ১৩ রানে,রাণা দত্ত ৪২ রানে, শঙ্কর পাল ৬১ রানে এবং পারভেজ সুলতান ৭১ রানে ১ টি করে উইকেট দখল করেন। শনিবার দ্বিতীয় দিনের সকালে বোলাররা জ্বলে উঠতে পারলেই ম্যাচে ফিরতে পারে ত্রিপুরা। নতুবা জাকিয়ে বসবে স্বাগতিক দলের ক্রিকেটাররা।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Must Read

    spot_img