ত্রিপুরা-১৪৯ & ২৮৬/৯
রেলওয়ে -১০৫
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ ফেব্রুয়ারি।। সরাসরি জয়ের স্বপ্নে বিভোর ত্রিপুরা। হাতে আরও ২ দিন সময়। ফলে জয় পেতে হলে তৃতীয় দিনে জ্বলে উঠতে হবে রাজ্যদলের বোলারদের। সফররত দলের ব্যাটসম্যান-রা যদি একবার জাকিয়ে বসতে পারেন তাহলে কিন্তু মরশুমের শেষটা ত্রিপুরার জন্য সুখকর হবে না। তাই ত্রিপুরাকে জয় পেতে হলে বোলারদের বড় ভূমিকা নিতে হবে দ্বিতীয় ইনিংসে। রণজি ট্রফি ক্রিকেটে। এম বি বি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ত্রিপুরার ১৪৯ রানের জবাবে রেলওয়ে গুটিয়ে যায় ১০৫ রানে। ৪৪ রান এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের শেষে ত্রিপুরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে। আপাতত ত্রিপুরা এগিয়ে ৩৩০ রানে। রাজ্য দলের পক্ষে সুদীপ চ্যাটার্জি, গনেশ সতীশ অর্ধশতরান করেন এবং মণিশঙ্কর মুড়াসিং ৫ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম দিনের ৭ উইকেটে ৭২ রান নিয়ে খেলতে নেমে শনিবার আরও ১১.৩ ওভার ব্যাট করে ৩৩ রান যোগ করার ফঁাকে শেষ ৩ টি উইকেট হারায় সফররত রেলওয়ে। ৩৩ রানের মধ্যে এদিন ৩২ রান করেন প্রথম দিনের অপরাজিত থাকা অরিন্দম ঘোষ। অরিন্দম ১০৮ বল খেলে ৮ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬২ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে মণিশঙ্কর মুড়াসিং ২৮ রানে ৫ টি এবং বিক্রম দেবনাথ ১৬ রানে ৩ টি উইকেট দখল করেন। ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে দলীয় ৩৭ রানের মধ্যে বিক্রম কুমার দাস (৮), বাবুল দে (২১) এবং শ্রীদাম পালকে (০) হারিয়ে স্বাগতিক দল যখন খাদের কিনারায় তখন ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়ান দুই পেশাদার ক্রিকেটার সুদীপ চ্যাটার্জি এবং গনেশ সতীশ। ওই দুজন কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এবং ত্রিপুরাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে ওই জুটি ২১১ বল খেলে ১৪৭ রান যোগ করে ত্রিপুরার স্কোরকে ভদ্রস্থ করেন। সতীশ ১১০ বল খেলে ৮ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬২ রান করেন। দুর্ভাগ্য সুদীপের। দুরন্ত ব্যাট করেও মাত্র ৫ রানের জন্য শতরান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সুদীপ ১৪১ বল খেলে ১১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯৫ রান করেন। ওই দুজন আউট হতেই ত্রিপুরার শিবিরে নামে ধ্বস। রাজ্যদল দ্রুত হারায় বিক্রম দেবনাথ (১১), সহ অধিনায়ক মণিশঙ্কর মুড়াসিং (২৪), দলনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা (৫) এবং পারভেজ সুলতান (১)কে। ২৪১ রানে ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অভিজিৎ সরকার এবং রাণা দত্ত রুখে দাঁড়ান। দিনের শেষ বল পর্যন্ত ওই জুটি ৩৫ বল খেলে ৪৫ রান যোগ করেন। ত্রিপুরা ৭০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে। রাণা ২১ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ রানে এবং অভিজিৎ ৩৮ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রানে অপরাজিত থেকে যান। রেলওয়ের পক্ষে যুবরাজ ৮৪ রানে ৪ টি এবং হিমাংশু সাঙ্গন ৫৫ রানে ৩ টি উইকেট দখল করেন।